রোম থেকে আসা বিমানে বোমার হুমকি, তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায়নি
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার ইস্যুতে ভারতের মন্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এমন মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টিকে ‘ভিত্তিহীন ও অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ভারতের বিবৃতিতে গভীর হতাশা প্রকাশ করছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে ভিত্তিহীন দাবি করা হচ্ছে, যা প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিপন্থী।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, “বাংলাদেশ সরকারের অসাম্প্রদায়িক নীতিমালা ও দেশের সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতির বিষয়ে ভারতের বিবৃতি কোনোভাবেই বাস্তব চিত্র তুলে ধরেনি।” বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ হিসেবে সম্প্রতি শান্তিপূর্ণ দুর্গাপূজার উদযাপনকেও তুলে ধরা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে, “ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক বাংলাদেশির ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে, এবং এ অধিকার সুরক্ষিত রাখতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক।” ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার এবং জামিন প্রত্যাখ্যান ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের ইঙ্গিত দেয়। ভারত আরও দাবি করে, “শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবি জানানো ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কিন্তু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীরা মুক্ত অবস্থায় রয়েছে।”
বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক শান্তি বিনষ্টের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডসহ অন্য যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।” চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা জানিয়ে সরকার এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিতে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখার জন্য গঠনমূলক এবং বাস্তবসম্মত উপায়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রভাত সময় ২৪
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
বোমা হামলার হুমকি পাওয়া রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তল্লাশি চালাচ্ছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের সামরিক প্রতিনিধিদল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে দলটি ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সফর করে। সফরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পেশাগত ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।