শুধু সাংবাদিক নাম ধারী চাঁদাবাজ নয় এদের সহায়তাকারি ও পৃষ্টপোষকদের বিরুদ্ধে ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এবং একইসাথে মহান সাংবাদিকতা পেশার সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে জেলার প্রকৃত সাংবাদিকদের সোচ্চার হবার আহবান জানিয়েছেন নওগাঁ সদর উপজেলার বিএনপি'র সভাপতি ও ৫নং হাঁপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান মোস্তাক আহম্মেদ রাজা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তার দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত “সাংবাদিক হয়রানির” অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ “মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করে এই আহবান জানান নওগাঁ সদর উপজেলার বিএনপি'র সভাপতি ও ৫নং হাঁপানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান মোস্তাক আহম্মেদ রাজা।
বিএনপি নেতা মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আমি কোনো সাংবাদিককে মারধর বা আটক করিনি। ঘটনাটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৮ মে কথিত কিছু ব্যক্তি সাংবাদিকতার পরিচয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ইউপি সদস্যদের হুমকি ও চাঁদা দাবি করছিলেন, যার ভিডিও প্রমাণ রয়েছে। এই অবস্থায় জনসাধারণ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে তাদের গ্রেফতার করেছে।পরে গ্রেফতার ওই দুই সাংবাদিক মেহেদী হাসান অন্তর ও নাজমুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রজু করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
চেয়ারম্যান দেওয়ান মোস্তাক আহম্মেদ রাজা বলেন, “একটি কুচক্রীমহল রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ ধরনের মানহানিকর সংবাদ প্রচার থেকে সংবাদমাধ্যমকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।” তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থার কথাও জানান। চেয়ারম্যান মোস্তা আহমেদ বলেন, মেহেদী হাসান অন্তর সরাসরি আওয়ামী রাজনিতির সাথে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,পেশাদার ও প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা সাংবাদিকতার সুনাম রক্ষায় এমন অপেশাদার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য আখলাকুর রহমান রতন, সদর থানা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হাসান লিপ্ত, ওবায়দুর রহমান, হাপানিয়া ইউনিয়নের সদস্য মিজানুর রহমান মিলন, শহীদ ইফতেখার আলম পটু সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন,গ্রেফতার ওই দুই সাংবাদিক মেহেদী হাসান অন্তর ও নাজমুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। মেহেদী হাসান অন্তরের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।