• 23 Jan, 2025

মেট্রোরেল ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম

মেট্রোরেল ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম মেট্রোরেল ও পুলিশ হত্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, সময়স্বল্পতার কারণে বক্তব্যটি খণ্ডিতভাবে প্রকাশিত হওয়ায় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তার বক্তব্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনার ওপর ভিত্তি করে ছিল বলে জানান তিনি।

IMG_1444
সংগৃহীত ছবি  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম সাম্প্রতিক একটি টিভি টকশোতে তার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তার মন্তব্যে আপত্তি উঠলে তিনি জানান, সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে তার বক্তব্যটি কিছুটা খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা প্রকৃত অর্থে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন।

হাসিব আল ইসলাম তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেন যে, ডিবিসি নিউজের ‘প্রযত্নে বাংলাদেশ’ টকশোতে বক্তব্য দেওয়ার সময় সময়স্বল্পতার কারণে বক্তব্যটি কিছুটা সংক্ষেপিত করতে হয়েছে। তিনি দাবি করেন, মূল বক্তব্য পুরোপুরি তুলে ধরার সুযোগ না থাকায় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তার মন্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করেছে, যা তার বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্যকে পরিবর্তিত করেছে।

হাসিব জানান, তার বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিপ্লব ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রকৃতি বোঝানো। তিনি বলেন, “বিপ্লব কখনোই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হয় না; বরং পৃথিবীর প্রতিটি বিপ্লবই নিয়মের বাইরে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে।” তার বক্তব্যে তিনি এটিও উল্লেখ করতে চেয়েছিলেন যে, দেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতায় মেট্রোরেলের মতো প্রকল্প জনগণের ক্রোধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তার দাবি, সরকার নিজেই এই উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর আঘাত এনে জনমনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং সেই ক্ষোভ আরও তীব্রভাবে আন্দোলনের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

আলোচিত মন্তব্যে পুলিশ সম্পর্কে তিনি বলেন, “জুলাই মাসে অভ্যুত্থানকালে পুলিশের ভূমিকায় নিরপরাধ ছাত্র ও জনগণের ওপর হামলার ঘটনা ছিল মুক্তিকামী জনতার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়।” তার বক্তব্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, দেশের সাধারণ জনগণ যখন নিজেদের জীবন রক্ষার জন্য প্রতিরোধে সামিল হয়েছিল, সেটি ছিল তাদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তবে সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার উল্লেখ করা সম্ভব হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ বক্তব্যকে তুলে ধরেনি।

এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেন যে, তার সঙ্গে যোগাযোগ না করেই গণমাধ্যমে তার বক্তব্য খণ্ডিতভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যা তার জন্য হতাশার বিষয়। তার মতে, বিষয়টির পুরো প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদন করা হলে জনমনে ভুল ধারণার সৃষ্টি হতো না।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪