শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (আইআইসিটি) সাবেক পরিচালক।
অভিযোগ অনুযায়ী, অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন নিয়োগে অর্থ লেনদেন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকাকালীন নিয়ম বহির্ভূতভাবে গাড়ি ব্যবহার, একাডেমিক কাজে অবহেলা, এবং শিক্ষকদের হয়রানি করার ঘটনাও পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার মতে, তিনি গত কয়েক বছরে সিন্ডিকেট তৈরি করে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে সিলেট শহরের বারুতখানা পয়েন্টে একটি এবং সুরমা আবাসিক এলাকায় আরেকটি ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম কানাডায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন এবং তার পরিবার সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে বলে জানা গেছে। গত ছয় বছরে তিনি প্রায় ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। ছুটি এবং ভ্রমণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম উপেক্ষা করেও তিনি এসব কার্যক্রম চালিয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার নিয়ম ভেঙে তিনি একা লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশ করতেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তিনি তার নিজ এলাকার প্রার্থীদের নিয়োগে অগ্রাধিকার দিতেন। এমনকি নিয়োগ বোর্ডে ক্ষমতাবলে নিজের ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে তার অংশ নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, “এ ধরনের ঘটনা খুবই নিন্দনীয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।