ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাইবার নিরাপত্তা সেমিনারে নিরাপত্তা এবং আইনের প্রসঙ্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি সেমিনারে সাইবার স্পেসের সুরক্ষা এবং এর জন্য আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল উর রহমান। সেমিনারে আইসিটি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান সহ আরো অনেক বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা একে অপরের সঙ্গে মত বিনিময় করে সাইবার নিরাপত্তা উন্নয়নের জন্য আইনের পাশাপাশি ডিজিটাল লিটারেসি বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সাইবার নিরাপত্তা ও আইন নিয়ে আলোচনা:
প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা বলেন, “বর্তমান প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এআই বেইজড ইন্টারনেট গভর্নেন্স মডেল গঠন প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “আইনের প্রণয়নের সময় জনগণের সম্পৃক্ততা থাকা উচিত, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মতামতও নেওয়া প্রয়োজন।”
এছাড়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান মন্তব্য করেন, “বর্তমানে আইএসপি গুলোর সেবা কম মানের এবং হ্যাকিং কিংবা ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে যথাযথ অভিযোগ জানাতে কোনো সঠিক আইনি ব্যবস্থা নেই।” জায়মা ইসলাম বলেন, “প্রথম যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়, তখন এর কিছু ধারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। এছাড়া নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে আইনের অপব্যবহার হয়।”
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের প্রস্তাবনা:
সেমিনারে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বর্তমান প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে জামিন অযোগ্য ধারা নেই। মামলার গুরুত্ব বিচারকের হাতে থাকছে।” তিনি আরও জানান, “আগের আইনে যে কেউ মামলা করতে পারতো, কিন্তু এখন শুধু সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মামলার জন্য আবেদন করতে পারবে।”