• 23 Jan, 2025

৯ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

৯ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছে। সিন্ডিকেট সভায় ২০১৫ সালের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়, যা দুই দেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়ের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যেসব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করেছিল, তা পুনরায় চালু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা সোমবার (১৮ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, "২০১৫ সালে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছে। ফলে ২০১৫ সালের আগে যেমন সম্পর্ক ছিল, তা পুনর্বহাল হয়েছে। এতে করে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে এবং ঢাবির শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিতে পারবে। এছাড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময় কার্যক্রমও আগের মতো চলবে।"

২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর, পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধ অস্বীকার ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার মতো অপরাধ নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সভায় পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাবির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ প্রায় এক দশক পর ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিনিময়ের সুযোগ নতুনভাবে উন্মুক্ত হলো।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪