রোম থেকে আসা বিমানে বোমার হুমকি, তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায়নি
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
বগুড়ার গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে র্যাবের প্রাথমিক তদন্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নিহতের ছেলেকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রেফতার করলেও, পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, প্রকৃত অপরাধী ছিলেন ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগীরা। র্যাবের এমন ভুলে নিরপরাধ ছেলের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে র্যাবের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং তাদের প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়েছে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী র্যাবের পূর্বের প্রাথমিক তদন্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। র্যাবের অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করা হলেও, পুলিশের সাম্প্রতিক তদন্তে মূল হত্যাকারী হিসেবে ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার পটভূমি
গত ১০ নভেম্বর উম্মে সালমার মরদেহ তার বাড়ির ডিপ ফ্রিজে পাওয়া গেলে র্যাব জানায়, হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে নিহতের ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর তার মাকে হত্যা করে মরদেহ ফ্রিজে রেখেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সাদকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। তবে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পুলিশের তদন্তে এই একই ঘটনায় র্যাবের তদন্তকে ভুল দাবি করা হয়েছে।
পুলিশের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, খোয়া যাওয়া ওয়াইফাই রাউটার ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা হয়েছে। আটক ভাড়াটিয়া মাবিয়া আক্তার এবং তার দুই সহযোগী সুমন চন্দ্র সরকার ও মুসলিম স্বীকার করেন, ভাড়া সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
মাবিয়া জানান, চার মাস ধরে উম্মে সালমার বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে অনৈতিক কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় উম্মে সালমা তাকে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন। ক্ষোভ থেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাবিয়া। হত্যার পর মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে তারা পালিয়ে যান।
নিহতের ছেলে সাদ বিন আজিজুর অভিযোগ করেন, “র্যাবের ভুল অভিযোগের কারণে আমি সমাজ ও পরিবারের কাছে অপমানিত হয়েছি। এখন প্রমাণিত হয়েছে যে আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। র্যাবের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।”
বগুড়ার পুলিশ সুপার জানান, “র্যাবের প্রতিবেদনে ভুল তথ্য থাকায় নিরপরাধ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমরা নতুন তদন্তে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করেছি। ভবিষ্যতে এমন ভুল যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক থাকবে।”
এই ঘটনায় র্যাবের ভুল তদন্ত নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, প্রাথমিক তদন্তে এত বড় ভুল কিভাবে হলো। র্যাবের তদন্ত প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের দাবি উঠেছে।
প্রভাত সময় ২৪
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
বোমা হামলার হুমকি পাওয়া রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তল্লাশি চালাচ্ছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের সামরিক প্রতিনিধিদল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে দলটি ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সফর করে। সফরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পেশাগত ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।