• 23 Jan, 2025

মেয়েসহ বেনজীর আহমেদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

মেয়েসহ বেনজীর আহমেদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। বেনজীরসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা রয়েছে, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। দুদকের উপপরিচালক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলাম আয়কর নথি জব্দের জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানিতে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর অংশ নেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, গত ৮ জানুয়ারি একই আদালত বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মির্জা ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চারটি পৃথক মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদ ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তার স্ত্রী জিশান মির্জার বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত।

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্পদ ও আয়কর নথি জব্দ করে তদন্ত কার্যক্রম আরও গভীর করা হবে। এই নথি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ সংগ্রহ এবং মামলার অগ্রগতি নিশ্চিত করা হবে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ তদন্তের প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে তার পরিবারের বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা চলছে। আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪