চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি একাই ২৮টি গুলি ছুড়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ (৩২) গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তৌহিদুল একাই আন্দোলনকারীদের ওপর ২৮টি গুলি ছুড়েছিলেন।
শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরার কমলনগর এলাকা থেকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের চান্দগাঁও থানা-পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত তৌহিদুল চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হকের অনুসারী বলে পরিচিত।
পুলিশের বক্তব্য
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তৌহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যাসহ মোট ১২টি মামলা রয়েছে।
চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘তৌহিদুল একটি শাটার গান নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালান। তিনি গত ১৮ জুলাই নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় একাই ২৮টি গুলি ছুড়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। আমরা অস্ত্রটি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছি।’’
আন্দোলনের পটভূমি ও ক্ষয়ক্ষতি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৭ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামে সংঘর্ষে ১০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও স্বজনরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা ও আদালতে ২৫টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত
আন্দোলনের সময় অস্ত্রধারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে র্যাব এবং দুজনকে নগর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে কোনো গ্রেপ্তারকৃতের কাছ থেকে এখনও অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র নাথসহ চারজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ছেলেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাউশি নক্ষত্রের ফলাফল বাতিলের নির্দেশ দেয় এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মসজিদের স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে, জয় বাংলা’ বার্তা প্রদর্শিত হওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। স্থানীয় রাজনীতিকরা ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন, আর পুলিশ ঘটনার তদন্তে কাজ করছে।