• 23 Jan, 2025

বিএমডব্লিউ আমদানিতে জালিয়াতি: চার বছর পর ফাঁস

বিএমডব্লিউ আমদানিতে জালিয়াতি: চার বছর পর ফাঁস

চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৭ সালের পুরোনো বিএমডব্লিউ গাড়ি আমদানি করে নতুন হিসেবে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার জালিয়াতি উদ্‌ঘাটন করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ। জাল নথির ভিত্তিতে গাড়িটি আমদানির চার বছর পর জব্দ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে।

চার বছর আগে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে জালিয়াতির তথ্য উদ্‌ঘাটন করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২০২০ সালে নাগোয়া করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গাড়িটি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে নতুন বিএমডব্লিউ ফাইভ সিরিজ হিসেবে আমদানি করে এবং আমদানির নথিতে মডেল ও তৈরির সাল হিসেবে ২০১৯ উল্লেখ করে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা সম্প্রতি তদন্তে দেখেন, গাড়িটি আসলে ২০১৭ সালে তৈরি ও বিএমডব্লিউ সেভেন সিরিজের পুরোনো গাড়ি।

গাড়িটি আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করা হয়। আমদানি মূল্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার দেখানো হলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ধরে শুল্ক নির্ধারণ করে। সব মিলিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫৩ লাখ টাকা শুল্ককর পরিশোধ করলেও প্রকৃত মডেল ও তৈরির সাল গোপন করায় অতিরিক্ত শুল্ক ফাঁকি দিতে পেরেছে।

ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে গাড়িটি জব্দের সময় দেখা যায়, এটি চৌধুরী ফ্যাশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত, এবং বর্তমান মালিক জালিয়াতির বিষয়টি জানতেন না। কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, মডেল ও তৈরির সাল নিয়ে মিথ্যা ঘোষণা দেওয়া হয়, যা চট্টগ্রামের বন্দর থেকে গাড়িটি ছাড়ানোর সময় গোপন ছিল। এখন জরিমানা এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জালিয়াতির দায়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই জালিয়াতি উদ্‌ঘাটনের মাধ্যমে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিতে নজরদারির কার্যক্রম জোরদার করেছে, যা অন্যান্য ক্ষেত্রে অনিয়ম প্রতিরোধে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪