চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত জেলা বারের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) কমিটির প্রধান ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর দুদিন আগে কমিটির অন্য চার সদস্যও পদত্যাগ করেন। শনিবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে আসে।
অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি প্রশাসন ও আদালতের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার শঙ্কা রয়েছে। আইনজীবীরা যদি এ ঘটনার তদন্ত করেন, তবে তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই আমাদের মতামত হলো, বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত, যা জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারকের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমরা সম্মিলিতভাবে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।”
ঘটনার পটভূমি:
গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরের পর এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আদালত চত্বরে আইনজীবী আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আইনজীবী আলিফের বাবা বাদী হয়ে ২৯ নভেম্বর ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। একই দিন আলিফের ভাই ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা দেওয়া, এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার রয়েছেন ১১ জন।