• 23 Jan, 2025

আ. লীগের সঙ্গে ছিলেন আবার বিএনপিতেও পেলেন সাধারণ সম্পাদক পদ

আ. লীগের সঙ্গে ছিলেন আবার বিএনপিতেও পেলেন সাধারণ সম্পাদক পদ

ফটিকছড়ি জাফতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেনের নাম ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ এনে তার পদপ্রাপ্তি মেনে নিতে নারাজ বিএনপির কর্মীরা।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আনোয়ার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ পদপ্রাপ্তি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিটির নাম উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। সেখানে জাফতনগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আনোয়ার হোসেনের নাম দেখে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, আনোয়ার হোসেন আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা খাদিজাতুল আনোয়ার সনির পক্ষে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়বের নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আনোয়ার হোসেন হঠাৎ বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, মাঠের সংগ্রাম করে আসা নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা করে হঠাৎ করে কাউকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, “আমরা যারা বছরের পর বছর সংগ্রাম করেছি, তারা সাধারণ সদস্য হিসেবেও স্বীকৃতি পাই না। অথচ আওয়ামী লীগে কাজ করা একজন ব্যক্তি হঠাৎ এসে সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেলেন, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।” তবে, বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, “আনোয়ার হোসেন আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দেখা-সাক্ষাৎ হওয়া স্বাভাবিক। তবে, তিনি কখনো আওয়ামী লীগের কোনো পদে যাননি। আমরা তার অভিজ্ঞতা বিবেচনায় কমিটিতে স্থান দিয়েছি।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আমাদের কর্মীরা আওয়ামী লীগের দমননীতি মোকাবিলা করেছেন। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ নেতাদের পাশ কাটিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া দুঃখজনক। আশা করি, দল বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।” স্থানীয় নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং কর্মীদের প্রতি সুবিচার নিশ্চিত না হলে মাঠ পর্যায়ে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়বে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪