রোম থেকে আসা বিমানে বোমার হুমকি, তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায়নি
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও অপহরণসহ মোট ২৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় নতুন ১৪টি মামলা রেকর্ড হয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুলি করে হত্যা, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সংখ্যা ২৫৩-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে সরাসরি হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার সংখ্যা ২১৩টি। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সম্প্রতি নতুন করে ১৪টি মামলা রেকর্ড হয়েছে, যা মামলার সংখ্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে প্রথম মামলা হয় ১৫ আগস্ট। এরপর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দাখিল করা হচ্ছে।সর্বশেষ ৫ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন থানায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুলি চালিয়ে হত্যা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪টি নতুন মামলা রেকর্ড হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে অধিকাংশ ঘটনায় ছাত্র-জনতার মিছিল ও আন্দোলনে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে।
ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে গত ১৯ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার বাদী নিহত তরুণ রুমনের বোন রুমিয়া আক্তার। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গুলিটি সরাসরি রুমনের বুকে আঘাত করে। নিহত রুমন ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।রাজধানীর গুলশানে আবুজর শেখ নামের ২৪ বছর বয়সী এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী আবুজরের মা ছবি খাতুন। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশান এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিতে আবুজর শেখ প্রাণ হারান। যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় ১৬ বছর বয়সী কিশোর সুলাইমানকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে মিছিলে গুলি চালানো হয়। এতে সুলাইমান গুরুতর আহত হয়। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গাড়িচালক ইনছান আলী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর মা মামলার বাদী হিসেবে অভিযোগ করেন, স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের গুলিতে ইনছান আহত হন। শেখ হাসিনাসহ ২৬৭ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী মিছিলে গুলিতে ব্যবসায়ী সামছুল ইসলাম নিহত হন। তাঁর খালাতো ভাই লিটন মিয়া শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শাহবাগে একটি ছাত্র-জনতার মিছিল চলাকালীন গুলিতে ভ্যানচালক আবদুল্লাহ আল আবীর নিহত হন। মামলার বাদী আবীরের মামাতো ভাই ফিরোজ হোসেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৮১ জনকে আসামি করা হয়েছে। রাজধানীর রামপুরায় নাজমুল হাসান নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। হাফেজ মাসুদুর রহমান নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভাটারায় মনির হোসেন নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে।শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৯০ জনের বেশি ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিনটি হত্যা মামলার আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীদের স্বজনেরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব মামলা গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সহিংসতার দায় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাযথ তদন্ত এবং নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়ার প্রয়োজন রয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সিএমএম আদালত এবং দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে প্রতিনিয়ত নতুন মামলা রেকর্ড হচ্ছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় আইনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর সংখ্যা এবং এর ব্যাপকতা দেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। এই আইনি লড়াই কেবল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকনির্দেশক হিসেবেও প্রভাব ফেলবে।
প্রভাত সময় ২৪
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
বোমা হামলার হুমকি পাওয়া রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তল্লাশি চালাচ্ছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের সামরিক প্রতিনিধিদল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে দলটি ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সফর করে। সফরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পেশাগত ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।