রোম থেকে আসা বিমানে বোমার হুমকি, তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায়নি
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
ভয়েস অব আমেরিকার এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিগত সরকারের তুলনায় ভালো কাজ করছে। জরিপে ৬৪.১% অংশগ্রহণকারী এই উন্নতির কথা উল্লেখ করেছেন, যদিও মুসলিম ও অমুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য রয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আরও কার্যকর উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) বাংলা বিভাগের একটি সাম্প্রতিক জরিপে প্রকাশিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জরিপে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের তুলনায় অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে পরিচালিত এই জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৪.১ শতাংশ উত্তরদাতা উল্লেখ করেছেন যে বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করেছে। মাত্র ১৫.৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে, আর ১৭.৯ শতাংশ উত্তরদাতা পরিস্থিতিকে ‘অপরিবর্তিত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের পটভূমি ও বর্তমান পরিস্থিতি
গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে। বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন তীব্র আকার ধারণ করে। তবে মানবাধিকারকর্মী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং সাধারণ জনগণের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে গিয়েছে। মানবাধিকারকর্মী নূর খান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সম্মিলিত উদ্যোগে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মাত্র এক মাসের মধ্যে সহিংসতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
ভিওএ-এর জরিপে মুসলিম এবং অমুসলিমদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে ধারণায় স্পষ্ট পার্থক্য দেখা গেছে। মুসলিম উত্তরদাতাদের মধ্যে ৬৬.১ শতাংশ মনে করেন, বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য আগের চেয়ে ভালো কাজ করছে। তবে অমুসলিম উত্তরদাতাদের মাত্র ৩৯.৫ শতাংশ এই মত পোষণ করেছেন। ঢাকার বাসিন্দা জয়তী সরকার, যিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য, জানিয়েছেন, আগের চেয়ে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে, তবে পুরোপুরি নিরাপদ বোধ করছেন না। তাঁর মতে, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনে সংখ্যালঘুদের জমি দখল এবং বিভিন্ন প্রকার নিপীড়নের অভিযোগ ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সে ধরনের নিপীড়ন কিছুটা কমেছে।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ বলে আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পরিস্থিতি অতিরঞ্জিত না করার আহ্বান জানিয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থা পুনর্গঠনে সরকারকে আরও দীর্ঘমেয়াদি এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নূর খানের মতে, “আগামী ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে সরকারের কার্যক্রম নির্ধারণ করবে সংখ্যালঘুরা কতটা নিরাপদ বোধ করবেন।”সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল এবং ধর্মীয় নেতাদেরও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হতে হবে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা উন্নত হলেও আস্থার সংকট এখনো রয়ে গেছে। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে, তবে এই আস্থার সংকট কাটিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রভাত সময় ২৪
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
বোমা হামলার হুমকি পাওয়া রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তল্লাশি চালাচ্ছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের সামরিক প্রতিনিধিদল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে দলটি ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সফর করে। সফরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পেশাগত ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।