• 23 May, 2025

শ্বশুরকে পিতা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৯ বছর চাকরি করলেন মিতু

শ্বশুরকে পিতা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৯ বছর চাকরি করলেন মিতু

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে নিজের পিতা হিসেবে দেখিয়ে মাফিয়া আক্তার মিতু নামের এক শিক্ষক ৯ বছর ধরে সরকারি চাকরি করে আসছেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে নিজের পিতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে মাফিয়া আক্তার মিতুর বিরুদ্ধে। তিনি ভাটারা ইউনিয়নের ৬১নং মইশাবাদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

তদন্তে জানা গেছে, মাফিয়া আক্তার তার স্বামী খায়রুল ইসলাম খোকনের মুক্তিযোদ্ধা পিতার নাম ব্যবহার করে ২০১৬ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। বিয়ের আগে এসএসসি রেজিস্ট্রেশনে নিজের জন্মদাতা পিতার নাম ব্যবহার করলেও বিয়ের পর জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রে শ্বশুরের নাম যুক্ত করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অধীনে একাধিকবার তদন্ত পরিচালিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে এবং তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মাফিয়া আক্তার মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ভাসুর শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। কিন্তু মিতু তার কাগজপত্রে আমার বাবার নাম ব্যবহার করতে পারে না। এটি আমাদের পরিবারের জন্য লজ্জার।”

জামালপুর জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, “তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।” প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেছেন, “প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত এ বিষয়ে আইনগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪