রোম থেকে আসা বিমানে বোমার হুমকি, তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায়নি
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ফোরাম ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধসহ ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, যৌথ নদীর ন্যায্য পানি বণ্টন, এবং সংখ্যালঘু ইস্যুতে উসকানি বন্ধ। তারা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানিয়ে ১৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছে একটি নাগরিক ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের আহ্বায়ক নাজির শাহিন, সদস্য সচিব নাওয়িদ হোসেন, এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মারুফ হাসান, এস এম শহীদুজ্জামান লিমন ও মো. নাজমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে ভারতের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
ফোরামের আহ্বায়ক নাজির শাহিন বলেন, “উপমহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। সার্ককে একটি কার্যকর ও শক্তিশালী আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে ন্যায়বিচার, ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের পক্ষ থেকে ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১/ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের যেকোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বন্ধ।
২/ ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার বন্ধ।
৩/ ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক গড়ে তুলতে সমতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা।
৪/ যৌথ নদীগুলোর পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, এবং বাণিজ্য বিষয়ে ন্যায্য সমাধান খোঁজা।
৫/ ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত নেওয়া এবং বৈধভাবে কর্মরতদের কর ব্যবস্থার আওতায় আনা।
৬/ সংখ্যালঘু ইস্যুতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উসকানি বন্ধ।
৭/ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত অপরাধের জন্য পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া এবং বকেয়া পাওনা আদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
৮/ সীমান্তে হত্যা বন্ধ এবং যৌথ প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা।
৯/ সার্ককে আঞ্চলিক, ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার একটি কার্যকর ফোরামে পরিণত করা।
১০/ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সুশাসন ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
ফোরামের সদস্য সচিব নাওয়িদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং পানি বণ্টনসহ দুই দেশের মধ্যে চলমান বিভিন্ন সমস্যার যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য দুই দেশের সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও ভারতের ভূমিকার সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ফোরামের এই দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। সমাপ্তি বক্তব্যে আহ্বায়ক কমিটি সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
প্রভাত সময় ২৪
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
বোমা হামলার হুমকি পাওয়া রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তল্লাশি চালাচ্ছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের সামরিক প্রতিনিধিদল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে দলটি ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সফর করে। সফরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পেশাগত ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।