• 23 Jan, 2025

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে কর ফাঁকির অভিযোগে এনবিআরের তদন্ত শুরু

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে কর ফাঁকির অভিযোগে এনবিআরের তদন্ত শুরু

কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে কর ফাঁকির অভিযোগে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এনবিআরের তদন্ত শুরু হয়েছে। সিআইসির একটি বিশেষ দল রিসোর্টের বিনিয়োগ ও কর নথি পর্যালোচনা করছে। কর ফাঁকির প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় অবস্থিত বিলাসবহুল প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেডে কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকি বিষয়ক নথি খতিয়ে দেখতে সিআইসিতে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। সিআইসির পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানীর নেতৃত্বে গঠিত এই দল আজ সোমবার প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। তদন্ত দলের সদস্যরা রিসোর্টের জমি, অবকাঠামো, ও বাজারমূল্য মূল্যায়ন করার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেছেন। 

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের স্ত্রী শিরিন আক্তার, মা জহুরা খাতুন প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর ভাই এ বি এম শাহরিয়ার রিসোর্টটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। যদিও হারুন অর রশীদ নিজে পরিচালনা পর্ষদে নেই, তবুও তাঁর নাম সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগ ও কর ফাঁকির অভিযোগে উঠে এসেছে। তদন্ত দল বলছে, রিসোর্টে বিনিয়োগের পরিমাণ এবং এর কতটা কর নথিতে দেখানো হয়েছে তা বিশ্লেষণ করা হবে। এ ছাড়া হারুনের আত্মীয় মিনারা বেগম, সোমরাজ মিয়া এবং ব্যবসায়িক অংশীদার আলাউদ্দিন আল সোহেলের কর ফাঁকির বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে। 

গত অক্টোবরে সিআইসি থেকে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার, মা জহুরা খাতুন, ভাই এ বি এম শাহরিয়ার এবং আত্মীয় সমরাজ মিয়া। কর ফাঁকি প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিআইসি। হারুন অর রশীদ ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলন দমন করতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে। সিআইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের বিলাসবহুল অবকাঠামো এবং বিনিয়োগের বিষয়ে কর ফাঁকির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কর ফাঁকির প্রমাণ মেলে, তবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪