বিএফআইইউ সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে কারসাজি এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গত ২ অক্টোবর সাকিব এবং তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরসহ তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের পর সরকারের নির্দেশে সাকিবের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে সাকিবকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পুঁজিবাজারে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএসইসি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সাকিবের বিরুদ্ধে এই শেয়ার কারসাজির অভিযোগ উঠে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়।
পাশাপাশি, সাকিব মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। কিছুদিন আগে আদাবর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে, যা তার জন্য অতিরিক্ত আইনি চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষণ: সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়াবিদ হলেও পুঁজিবাজারে অনিয়ম এবং শেয়ার কারসাজির মতো অভিযোগে তার উপর আস্থা কিছুটা কমেছে। তার ব্যাংক হিসাব জব্দের পদক্ষেপ সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আইনের প্রতি আস্থা স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।