আজ ২৩ মে থেকে দেশের অন্যতম প্রধান আম উৎপাদনকারি জেলা নওগাঁয় গাছ থেকে গুটি আম পাড়া শুরম্ন হয়েছে। এ বছর প্রচন্ড খরা ও অনাবৃষ্টির কারনে প্রায় অনেক আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়েছে। ফলে এ বছর আমের ফলন কমে আসার আশংকা করছেন আম চাষিরা।ফলন কমে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন জেলার আম চাষিরা।
জেলার বাণিজ্যিকভাবে আম উৎপাদনকারি বরেন্দ্রভ’মি খ্যাত পোরশা,সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলাসহ জেলায় এবার আমের ফলন ও গতবারের চেয়ে অনেক কম হয়েছে। নওগাঁয় জাতভেদে গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল এই সময়সূচি ঘোষনা করেন। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে গাছ থেকে অপরিপক্ক আম সংগ্রহ করে তা কেমিকেল দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করা হলে সংশিস্নষ্টদের বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। আম পাড়ার সূচি অনুসারে আজ ২২ মে থেকে গুটি আম বাজারজাত করা যাবে।
এরপর পর্যায়ক্রমে উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ ৩০ মে, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২জুন থেকে থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়া নাগ ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৮ জুন ও ফজলি ২৫ জুন থেকে পাড়তে পারবেন চাষিরা। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে আশ্বিনা, বারি-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা ম্যাংগো ২৫ জুন থেকে। তবে আবহাওয়া, তাপমাত্রাা কারণে আগেই আম পেকে গেলে সংশিস্নষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসের অনুমতি নিয়ে আগে আম পাড়া যাবে। তবে মহাদেবপুরের উত্তরগ্রামের আম চাষি ও বাগান মালিক রফিকুল ইসলাম, এবারে প্রচন্ড খরা ও অনাবৃষ্টির কারনে প্রায় অর্থেক আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়েছে। পলন ও অর্ধেকে নেমে আসবে ভালো দাম না পেলে জেলার আম চাষিরা এবার চরম ড়্গতির মুখে পড়বেন। বর্তমানে গুটি জাতের আম এক হাজার থেকে ১২”শ টাকা এবং গোপালভোগ ১৮’শ থেকে ২২’শ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। সাপাহার উপজেলা সদরের আম চাষি বাবুল আখতার ও মাসিরা চৌধুরি জানান, এবারে জেলার প্রায় অর্ধেক গাছে আম নেই। যে সামান্য পরিমান আম এসেছিলো অনাবৃষ্টি ও খরায় সেই আম ও ঝড়ে গেছে। কাজে ই এবার জেলার আমের ফলন অর্থেকে নেমে আসবে।
এ কারনে এবার আমের দাম বাড়ার ও সম্ভবনা আছে বলে জানান আম চাষি বাবুল আখতার ও মাসিরা চৌধুরি নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, নওগাঁয় চলতি মৌসুমে ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির আম বাগানে আম চাষ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লড়্গ্যমাত্রা ধার্য্য করেছে কৃষি বিভাগ। উৎপাদিত আম সাড়ে ৩ হাজার কৌটি থেকে ৪ হাজার কৌটি টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।