• 23 Jan, 2025

জয়পুরহাটে সয়াবিন তেলের সংকট: মূল্য বৃদ্ধি ও শর্তের বোঝায় অতিষ্ঠ ক্রেতারা

জয়পুরহাটে সয়াবিন তেলের সংকট: মূল্য বৃদ্ধি ও শর্তের বোঝায় অতিষ্ঠ ক্রেতারা

জয়পুরহাটে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি তেল কিনতে শর্তযুক্ত অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য হওয়ায় ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়ছেন। সরবরাহ কম এবং চাহিদা বৃদ্ধি সংকটের মূল কারণ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জয়পুরহাটে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নির্দিষ্ট কোম্পানির তেল কিনতে বাধ্যতামূলকভাবে অন্যান্য পণ্য কেনার শর্ত আরোপ করায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।

images (94)-1
জয়পুরহাটে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট।

তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও শর্তের চাপ  
গত এক মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের খুচরা দাম লিটারপ্রতি ১৬০ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা ১৭০-১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে কেজি প্রতি ১৯২-১৯৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। জেলার ক্রেতাদের অভিযোগ, বোতলজাত তেল কিনতে গেলে নির্ধারিত পরিমাণে আটা, চাল, মসলা বা চা পাতা কেনার শর্ত দেওয়া হচ্ছে। আদর্শপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমার প্রয়োজন না থাকলেও ১ কেজি আটা নিয়ে ২০০ টাকায় তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছি। এতে সংসারের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।” বিক্রেতারাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কলেজ রোডের সাহা ট্রেডার্সের মালিক সীতারাম কুমার সাহা বলেন, “ক্রেতারা এমন শর্ত মেনে তেল কিনতে চায় না। তাই খোলা তেলই বেশি বিক্রি করছি।”

সরবরাহ সংকটের মূল কারণ  
জেলার পরিবেশক মোল্ল্যা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন জানান, “উৎপাদন কম হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে। তেলের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য যোগ করাকে আমরা শর্ত বলছি না; এটি কোম্পানির ব্যবসায়িক নীতি।”তবে সরবরাহকারীরা বলছেন, চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। অন্যথায় বাজার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

সমাধানের দাবি  
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এমন সংকট ও মূল্যবৃদ্ধিতে স্বল্প আয়ের মানুষ দিশেহারা। তারা অবিলম্বে বাজার তদারকি ও সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া, ক্রেতাদের ওপর শর্ত আরোপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা।  

জয়পুরহাটে সয়াবিন তেলের বর্তমান সংকট শুধু মূল্যবৃদ্ধির কারণে নয়, বরং ব্যবসায়িক শর্তের কারণে ক্রেতারা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪