• 23 Jan, 2025

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুর কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই করেছে। সফররত প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুর কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করেছে। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠায় একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে সেখানে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তির আওতায়, দুই দেশের কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই একে অপরের দেশে প্রবেশ, অবস্থান এবং প্রস্থান করতে পারবেন।

প্রেসিডেন্ট হোর্তার সফর

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় পৌঁছান পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনায় স্বাগত জানান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট হোর্তা সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। একই দিন তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়া, বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

বক্তৃতা ও তরুণদের সঙ্গে বৈঠক

১৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হোর্তা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) আয়োজনে “দা চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্যা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড” শীর্ষক এক বক্তৃতা প্রদান করবেন। একই দিনে তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে মিলিত হবেন। এই বৈঠকে তিনি পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বের ভূমিকা, জনগণের সহযোগিতা এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবেন।

চুক্তির তাৎপর্য

বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যে এই ভিসা অব্যাহতি চুক্তি উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নে এই উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হোর্তার এই সফর এবং তার কার্যক্রম দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪