• 23 Jan, 2025

কুমিল্লায় সড়ক অবরোধ, ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি

কুমিল্লায় সড়ক অবরোধ, ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি

কুমিল্লার দেবিদ্বারে তাবলিগ জামাতের জোবায়েরপন্থি আলেম-ওলামারা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সাদপন্থিদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। দুই ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

কুমিল্লার দেবিদ্বারে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জোবায়েরপন্থি আলেম-ওলামারা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সাদ পন্থিদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের নিউ মার্কেট এলাকার স্বাধীনতা চত্বরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই ঘণ্টা ধরে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

দাবিতে সরব বক্তারা

সমাবেশে বক্তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের ভাষ্যে, “সাদপন্থিরা কোনো তাবলিগ জামাত নয়; বরং একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা বাংলাদেশের কোনো মসজিদে কার্যক্রম চালাতে পারবে না। তারা ইসরায়েল, ভারত এবং অন্যান্য শক্তির দালাল। তাদের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।” বক্তারা আরও বলেন, "সাদপন্থিরা ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরের মতো আবারও একই কায়দায় গত ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হাফেজ, আলেম ও তাবলিগ কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে। এছাড়া অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।"

নেতৃত্বদানকারী আলেমদের বক্তব্য

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তাবলিগের আমির মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, মাওলানা মিজানুর রহমান, হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা আবদুল হালিম, সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াহিয়া রাশেদ, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা ইমরানসহ আরও অনেকে। তারা সাদপন্থিদের "সন্ত্রাসী গ্রুপ" হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।

রাস্তা অবরোধে স্থবিরতা

মহাসড়কে এই অবরোধের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনার প্রতি সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং তাদের দাবিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এখন দেখার বিষয়।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪