ক্ষমতায় আসতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নালিশ, পানামার প্রতিবাদ
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে জাতিসংঘে নালিশ জানিয়েছে পানামা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসলে মধ্যপ্রাচ্যের নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে। গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি নতুন করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। যদিও ট্রাম্পের ইরান-বিরোধী অবস্থান এবং ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির কারণে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার প্রত্যাশায় মধ্যপ্রাচ্যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেখানে বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বন্ধের প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য। তবে সমালোচকরা মনে করেন, তাঁর নীতিগুলি তেমন কার্যকর নাও হতে পারে, বরং তাতে অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়তে পারে।
ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর 'আমেরিকা প্রথম' নীতি অনুসরণ করতে চান, যার মাধ্যমে তিনি অন্যান্য দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সুরক্ষা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। একই সঙ্গে, ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং তাদের পরমাণু চুক্তি থেকে দূরে থাকার নীতি পুনঃস্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর সময়ে ইসরায়েলপন্থী অবস্থান এবং জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন এসেছিল।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের আগ্রাসী নীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে গাজা, ইরান, ও লেবাননের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে নতুন সংকট দেখা দিতে পারে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাকে ইসরায়েলের ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর এ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং শক্তিশালী মধ্যপ্রাচ্য নীতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা বিশ্বের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রভাত সময় ২৪
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে জাতিসংঘে নালিশ জানিয়েছে পানামা।
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সোমবার এক দিনে ৯১৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা দৈনিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া ১৬ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।