• 02 Feb, 2025

কঙ্গোয় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘাতে ৭০০ নিহত

কঙ্গোয় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘাতে ৭০০ নিহত

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে (ডিআরসি) সরকারি বাহিনী ও এম২৩ বিদ্রোহীদের সংঘাতে পাঁচ দিনে অন্তত ৭০০ জন নিহত ও ২,৮০০ জন আহত হয়েছে। জাতিসংঘ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও এম২৩ বিদ্রোহীদের মধ্যে তীব্র সংঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত পাঁচ দিনে সংঘাতে কমপক্ষে ৭০০ জন নিহত এবং ২,৮০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলো একত্রে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে। তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে মানবিক বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সরবরাহ হ্রাসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র শেলি ঠাকরাল বলেছেন, “মানুষের খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, যা বড় উদ্বেগের বিষয়।”

এদিকে, সরকারি বাহিনী ও রুয়ান্ডার সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রাজধানী কিনসাসার দিকে অগ্রসর হওয়ার হুমকি দিলেও বিদ্রোহীরা গোমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেজ কাইকোয়াম্বা রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, তারা কঙ্গোর সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তিনি।

গোমার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াইয়ে জাতিসংঘের ১৭ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন দক্ষিণ আফ্রিকান, তিনজন মালাউইয়ান এবং একজনের জাতীয়তা অজ্ঞাত। বিশ্ব মিডিয়ায় এ ঘটনা গুরুত্ব পাওয়ায় বাংলাদেশেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, কারণ কঙ্গোয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সেনারা মোতায়েন রয়েছেন। তবে তারা নিরাপদ আছেন বলে জানা গেছে। 

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪