• 23 Jan, 2025

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চোখের সেবা উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে চোখের সেবা উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশে চোখের যত্ন ও সেবা উন্নয়নে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অরবিস প্রেসিডেন্ট ডেরেক হডকির সঙ্গে বৈঠকে চোখের সেবা সম্প্রসারণে যৌথ উদ্যোগের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলাদেশে চোখের যত্ন ও সেবার মান উন্নয়ন এবং এই সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্প্রসারণে আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, চোখের সেবা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অরবিসের মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে ড. ইউনূসের কার্যালয়ে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন। এসময় অরবিস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ডেরেক হডকি চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন এবং অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ উপস্থাপন করেন।

ড. ইউনূস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশংসা করে বলেন, "বাংলাদেশে এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে চোখের রোগীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বিশেষত, যারা চিকিৎসার জন্য দূরবর্তী শহরে যেতে পারেন না, তারা এই সেবার মাধ্যমে উপকৃত হবেন।" তিনি অরবিসের সঙ্গে ভবিষ্যতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অরবিসের প্রেসিডেন্ট ডেরেক হডকি বলেন, "চোখের সেবা উন্নয়নে বাংলাদেশে আমাদের কাজের পরিসর বাড়াতে চাই। আমরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্তমানে চট্টগ্রামে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেক হডকির নেতৃত্বে অরবিসের একটি দল বাংলাদেশ সফর করছে। এই সফরের উদ্দেশ্য স্থানীয় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং চোখের সেবা বিষয়ে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ড. মুনির আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে চোখের সেবার চাহিদা অত্যন্ত বেশি। বিশেষত, গ্রামীণ অঞ্চলে এ ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে অরবিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।” এই বৈঠকের মাধ্যমে অরবিস এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ সহযোগিতায় চোখের সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪