• 23 Jan, 2025

ঢাকা মেডিকেলে আবারও ভুয়া চিকিৎসক সেজে আটক নারী

ঢাকা মেডিকেলে আবারও ভুয়া চিকিৎসক সেজে আটক নারী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগ থেকে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। চিকিৎসকের এপ্রোন পরে ঘোরাফেরা করায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে ধরা হয়। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নাক, কান ও গলা বিভাগে চিকিৎসকের এপ্রোন পরে ঘোরাঘুরি করার সময় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে।

আনসার সদস্যদের প্লাটুন কমান্ডার পিসি মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী আনসার সদস্যদের জানান, তার নামের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন এক বহিরাগত নারী চিকিৎসকের এপ্রোন পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আনসার সদস্যরা তাকে নজরদারিতে রাখেন। পরে ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকদের ডেকে ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

জানা যায়, ঢাকা মেডিকেলের কোনো চিকিৎসক তাকে চেনেন না বলে জানান। সন্দেহ আরও বাড়লে তাকে প্রশাসনিক ভবনে হাসপাতালের পরিচালক এবং উপপরিচালকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, পাপিয়া আক্তার স্বর্ণাকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করা হয়।

আটকের পর পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা জানান, তিনি নরসিংদীর মনোহরদী সদরের আরওয়াদিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে তিনি ঢাকার বকশিবাজার এলাকায় ভাড়া থাকেন। হাসপাতালের ভবনে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পূর্ব পরিচিত এক রোগীকে চিকিৎসার জন্য ঢামেকে নিয়ে এসেছেন।

তবে চিকিৎসকের এপ্রোন পরার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি স্বীকার করেন যে, এটি তার বড় ভুল ছিল। তিনি জানান, "ভুলবশত এপ্রোনটি টেইলার্সে তৈরি করেছিলাম। ভবিষ্যতে আর কখনো এমন কাজ করব না।"

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বিষয়টি শাহবাগ থানায় জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, "আটককৃত নারী ভুয়া পরিচয় দিয়ে ঢামেকে প্রবেশ করেছেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

উল্লেখ্য, ঢামেক হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে মুনিয়া রোজা নামে আরেক ভুয়া নারী চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে সন্দেহজনক মনে করে আটকের পর জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। সেই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করেছিল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমন নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এভাবে ভুয়া চিকিৎসক প্রবেশ করতে পারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি নির্দেশ করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪