১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর এই প্রথম পাকিস্তানের একটি জাহাজ বাংলাদেশে আসে। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০০টি কনটেইনার নিয়ে আসে। পাকিস্তানের বাংলাদেশস্থ হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ একে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘বড় অগ্রগতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “নতুন এই রুট সরবরাহ চেইনকে সহজ করবে, পরিবহন খরচ কমাবে এবং উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।”
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাণিজ্যের অংশ হিসেবে পাকিস্তান থেকে তুলা ও অন্যান্য শিল্পপণ্য বাংলাদেশে আসবে এবং বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এ ধরনের সংযোগ কেবল বাণিজ্যিক নয়, সামগ্রিক উন্নয়নের দিকেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংযোগ দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। এ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়বে এবং দুই দেশের জনগণের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।