রোম থেকে আসা বিমানে বোমার হুমকি, তল্লাশিতে কিছুই পাওয়া যায়নি
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জাতির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এই দিনকে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক বিশেষ বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। স্বাধীনতার সপক্ষে কাজ করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব এসব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া।”
প্রধান উপদেষ্টা শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, “১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে।”
তিনি উল্লেখ করেন, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, শিল্পী, প্রকৌশলী ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞে প্রাণ হারান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, চিকিৎসক ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা প্রমুখ।
মেধাবী সন্তানদের নির্মম হত্যার মধ্য দিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার এই ষড়যন্ত্র ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের চরম অপরাধ, যা ইতিহাসে এক জঘন্য অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রভাত সময় ২৪
রোম থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটে বোমার হুমকির পর তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে অবতরণ করেছেন।
বোমা হামলার হুমকি পাওয়া রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তল্লাশি চালাচ্ছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের ৬ সদস্যের সামরিক প্রতিনিধিদল। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে দলটি ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সফর করে। সফরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পেশাগত ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।