ক্ষমতায় আসতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নালিশ, পানামার প্রতিবাদ
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে জাতিসংঘে নালিশ জানিয়েছে পানামা।
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের পরাজয়ের পেছনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের একাধিক কৌশলগত ভুল বিশেষ করে প্রভাব ফেলেছে। প্রধানত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিভ্রান্তিকর অবস্থান, দলের একত্রিত নেতৃত্বের অভাব, এবং কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় জনগণের উদ্বেগের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থতা তার জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলেছে।
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পরাজয়ের পেছনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভুল ভূমিকা পালন করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তার প্রচারণা কৌশলের নানা দুর্বলতা, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দৃঢ় অবস্থানের অভাব এবং ভোটারদের সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে না পারার ফলে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সকল সমস্যাগুলো বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।
কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী কৌশলের একটি বড় সমালোচনা ছিল, তিনি গুরুত্বপূর্ণ স্বল্পমার্জিনের রাজ্যগুলোতে পর্যাপ্ত সময় দেননি। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের মতো তিনিও উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ার মতো মূল রাজ্যগুলোতে তেমন উপস্থিত ছিলেন না। ফলে স্থানীয় জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগের ঘাটতি ও ভোটারদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুনতে না পারায় প্রচারণার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দলীয় নেতারা বিশেষ করে স্বল্পমার্জিনের রাজ্যে কমলা হ্যারিসের উপস্থিতির অভাব নিয়ে সমালোচনা করেন, যেখানে কিছু ভোটারদের সমর্থন দোলাচলে ছিল এবং ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো সম্ভব ছিল।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান বিষয়গুলোতে হ্যারিসের বক্তব্য অনিশ্চিত ও অস্পষ্ট ছিল বলে জানা যায়। উদাহরণস্বরূপ, সোশ্যাল সিকিউরিটি ও মেডিকেয়ার-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তার বক্তব্য বিতর্কিত হয়েছিল। কমলা হ্যারিস ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু প্রস্তাবকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এবং প্রকল্প ২০২৫-কে ট্রাম্পের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেন। তবে ট্রাম্প এই প্রস্তাব থেকে দূরে থাকার কথা বলেছিলেন। হ্যারিসের এমন বক্তব্যে নিরপেক্ষ ভোটাররা ক্ষুব্ধ হন, বিশেষ করে যখন বেশ কিছু ফ্যাক্ট-চেকার এই বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে ভুল ধারণা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয় এবং তারা প্রায়ই হ্যারিসের বক্তব্যকে ‘কৌশলগত অতিরঞ্জন’ বলে উল্লেখ করেন।
হ্যারিসের আরেকটি কৌশলগত ত্রুটি ছিল অর্থনৈতিক সংকট ও অভিবাসন ইস্যুতে স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনার অভাব। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তার স্পষ্ট পরিকল্পনার অভাব ডেমোক্র্যাটিক ভোটারদের মাঝে অনাস্থার জন্ম দেয়। এছাড়াও, অভিবাসন নীতি নিয়ে তার অবস্থান নিয়ে ভোটারদের মধ্যে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়, কারণ এই ইস্যুতে রিপাবলিকানদের দৃঢ় অবস্থান ও প্রতিশ্রুতি তাদের ভোটারদের আকৃষ্ট করে।
কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী কৌশল নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্দরেই নানা সমালোচনা ছিল। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বারবার কৌশল পরিবর্তন ও অস্থিরতার কারণে পার্টির অভ্যন্তরীণ নেতারা হতাশ হয়ে পড়েন। তাদের মতে, হ্যারিসের নেতৃত্বে প্রচারণায় অভিজ্ঞতার অভাব এবং অতিরিক্ত অভ্যন্তরীণ বৈঠক ও আলোচনা দলের প্রয়াসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার শেষ পর্যায়ে হ্যারিসের ক্যাম্পেইন ব্যর্থতার এই কারণগুলো বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকরা বলেন, হ্যারিসের কৌশলগত ত্রুটি, কার্যকর নেতৃত্বের অভাব এবং বার্তাপ্রবাহে সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে ডেমোক্র্যাটদের পরাজয় আরও প্রকট হয়।
প্রভাত সময় ২৪
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে জাতিসংঘে নালিশ জানিয়েছে পানামা।
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সোমবার এক দিনে ৯১৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা দৈনিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া ১৬ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।