• 23 Jan, 2025

আমেরিকার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় জয়ী হয়েছেন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে তিনি বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেছেন।

trump speech

আমেরিকার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় জয়ী হয়েছেন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে তিনি বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেছেন। দ্বিতীয়বারেরমত নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প এক ভাষণে নতুন আমেরিকার স্বপ্ন এবং জাতীয়তাবাদের শক্তিশালী ভূমিকা নিয়ে বিস্তৃত বক্তব্য দেন, যা দ্রুত সমর্থন ও সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

পুনর্গঠন ও অর্থনীতির প্রসঙ্গ

ভাষণে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, “আমরা জাতীয় ঐক্য ও প্রগতির এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছি। আমেরিকাকে আবার সবার উপরে নিয়ে আসার জন্য আমাদের পরিকল্পনা এখন আরও দৃঢ়।” তিনি আমেরিকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক প্রভাব বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন। এছাড়া ট্রাম্প অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রসার ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

 

সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভিবাসন নীতি

ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রধান অংশে ছিল সীমান্ত নিরাপত্তা এবং কঠোর অভিবাসন নীতির ওপর গুরুত্ব। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সীমান্তকে নিরাপদ রাখবো এবং অবৈধ অভিবাসনের প্রবাহ বন্ধ করবো।” সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

 

পররাষ্ট্রনীতি ও চীনের প্রতি কঠোর অবস্থান

ট্রাম্পের ভাষণের অন্য একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল চীনের প্রতি তার কঠোর মনোভাব। তিনি বলেন, “চীনের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব থেকে আমেরিকার স্বার্থ রক্ষায় আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।” তার এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিসরে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। পররাষ্ট্রনীতিতে ট্রাম্প বলেন যে তিনি আমেরিকাকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শক্তি হিসেবে রাখতে নীতি নির্ধারণ করবেন।

 

সমালোচনা ও বিতর্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের পরই বিরোধী দল এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার অভিবাসন নীতি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক অবস্থানের সমালোচনা করে। তারা বলেন, তার সীমান্ত নীতি ও চীনবিরোধী অবস্থান বিশ্ব রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। তবে, ট্রাম্পের সমর্থকরা তার এই উদ্যোগকে জাতীয় নিরাপত্তা এবং আমেরিকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক থেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

নির্বাচন পরবর্তী প্রথম ভাষণে ট্রাম্প জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা আমাদের দেশে বিভাজন নয়, ঐক্য চাই।” তিনি একটি সমৃদ্ধ আমেরিকা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তাঁর নতুন মেয়াদের যাত্রা শুরু করবেন বলে জানান।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪