চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় মোহাম্মদ উল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী এ মামলা করেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম জানান, মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বাদী দাবি করেন, গত ২৬ নভেম্বর আদালত ভবনের সামনে সশস্ত্র অবস্থায় থাকা আসামিরা তাকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করেন এবং হত্যার চেষ্টা চালান।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, যুবমহিলা লীগের নেত্রী জিনাত সুহানা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সমীর কুমার দে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন কান্তি নাথ, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত আহমেদ ও কাজী তানভীরসহ আরও অনেকে। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা, পুলিশের কাজে বাধা এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে আরও পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাইফুলের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছিলেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের বিষয়টি চট্টগ্রাম আদালতের পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তুলেছে।