ক্ষমতায় আসতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে নালিশ, পানামার প্রতিবাদ
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে জাতিসংঘে নালিশ জানিয়েছে পানামা।
ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আগে পেরুতে অনুষ্ঠিতব্য বাইডেন ও সির বৈঠক আন্তর্জাতিক উত্তেজনা কমানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাইবার অপরাধ, বাণিজ্য ও তাইওয়ান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণের আগে পেরুর রাজধানী লিমায় আজ শনিবার বৈঠকে বসার কথা বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের। এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা হ্রাস এবং সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠক বিশ্ব রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত সাত মাসে দুই নেতার এটিই প্রথম সরাসরি আলোচনা। তবে বৈঠকের নির্দিষ্ট সময় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধ, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা, তাইওয়ান এবং রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। ওয়াশিংটনের দাবি অনুযায়ী, সরকারি টেলিফোন যোগাযোগ এবং নির্বাচনী প্রচারে চীন-সংশ্লিষ্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি, তাইওয়ানের প্রতি চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপ এবং বেইজিংয়ের রাশিয়ার প্রতি সমর্থন ওয়াশিংটনের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এপেক সম্মেলনে একতরফাবাদ এবং সুরক্ষাবাদ পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের স্বার্থে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে চীন ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার কৌশলগত অবস্থান ইঙ্গিত করছে।
ট্রাম্পের আসন্ন দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপটে বৈঠকটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর প্রশাসনে চীনবিরোধী কট্টরপন্থিদের স্থান দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মার্কো রুবিওকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান, বিশেষত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা, চীনের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। এদিকে, ক্ষমতা হস্তান্তরের এই সময়ে চীন উত্তেজনা বাড়াতে চায় না বলে মনে করছেন সাংহাইভিত্তিক বিশেষজ্ঞ শেন ডিংলি।
বিশ্ব রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাইডেন ও সির এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। দুই নেতা যদি উত্তেজনা হ্রাস এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হন, তবে এটি আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রভাত সময় ২৪
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পানামা খাল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে জাতিসংঘে নালিশ জানিয়েছে পানামা।
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সোমবার এক দিনে ৯১৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা দৈনিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া ১৬ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।