নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভাতিজার হাঁসুয়ার কোপে আপন চাচা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের দাবি, চাচা তাঁকে জাদু-মন্ত্র করতেন, তাই তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের পানিহারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাতিজাকে উপজেলার চৌপুকুরিয়া নামক স্থান থেকে আটক করা হয়।নিহত ব্যক্তির নাম আশেদ আলী (৫৫)। তিনি ওই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের মেজো ছেলে। অভিযুক্ত নুর হাবিব সুমন (৩২) নিহতের বড় ভাই নুর আলমের ছেলে। তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই পরিবারের সবাই একই বাড়িতে বসবাস করতেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে আশেদ গরুকে পানি খাওয়াচ্ছিলেন। অন্যরা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় আশেদ কোনো একটি বিষয় নিয়ে সুমনের সঙ্গে কথা বললে, তিনি রাগান্বিত হয়ে হাঁসুয়া দিয়ে পেছন থেকে চাচার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত এগিয়ে এসে আশেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কী কারণে এমন ঘটনা ঘটাল, তা আমরা বুঝতে পারছি না। তবে সুমনের মনের ভেতরে ক্ষোভ থাকতে পারে।’ অন্যদিকে, অভিযুক্ত সুমনের দাবি, তাঁকে জাদু-মন্ত্র করা হয়েছিল। এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ভাতিজা নুর হাবিব সুমনকে উপজেলার চৌপুকুরিয়া নামক স্থান থেকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।