নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক নবাবকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
মোসারব হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক ভোটার না হয়েও অন্য এক ব্যক্তির নামে জাল ভোট দেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তিনি কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তিনি আরও জানান, অভিযোগের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর, তিনি পারইল ইউনিয়নের এক অসুস্থ বিএনপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে সিলমাদার এলাকায় অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের সঙ্গে দেখা হলে তিনি গাড়ি থামিয়ে কুশল বিনিময় করেন।এ সময় জাল ভোটের প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে অধ্যক্ষ মালেক ক্ষিপ্ত হন। মোসারব হোসেনের দাবি, তিনি শুধু অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "উচ্চশিক্ষিত একজন ব্যক্তি হিসেবে জাল ভোট দেওয়া আপনার কি উচিত হয়েছে?" এর বাইরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।
মোসারব হোসেন বলেন, "অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।"
সংবাদ সম্মেলনে রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এছাহক আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন এবং পারইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এচাহক সরদার উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, রোববার (২৭ অক্টোবর) আবাদপুকুর-আদমদিঘী সড়কের ভেটি-সিলমাদার এলাকায় অধ্যক্ষ আব্দুল মালেককে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি নিয়ে বেশ কিছু অনলাইন ও সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।