• 23 Jan, 2025

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন হতে পারে

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা: শুনানি শেষ, রায় যেকোনো দিন হতে পারে

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। যেকোনো দিন এ রায় ঘোষণা করা হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা দুটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছেন। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এখন যেকোনো দিন এ মামলার রায় ঘোষণা করা হতে পারে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন এবং অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হন। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। মামলার তদন্তের শুরুতে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে পুনরায় তদন্ত শুরু হয়। ২০০৮ সালে সিআইডি ২২ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অধিকতর তদন্ত শেষে তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়।

বিচারিক আদালতের রায়:

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় দেন।

  • সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

  • বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয়।

২০১৮ সালে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের নথিপত্র হাইকোর্টে প্রেরণ করা হয়। ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে শুনানি শুরু হয়। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ মামলাটি রায়ের জন্য সিএভি রাখেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগপত্র ও তদন্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা দাবি করেন, দ্বিতীয় অভিযোগপত্র আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং আসামিদের স্বীকারোক্তি নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছে, সব তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে রায় দেওয়া উচিত।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার জানান, ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এখন হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এই ঐতিহাসিক মামলার রায় বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এখন দেশের মানুষ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষেরা নজর রাখছে হাইকোর্টের রায়ের দিকে, যা ২১ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার দায়-দায়িত্ব নির্ধারণে চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪