রাজশাহীতে যুব মহিলা লীগের কর্মী তামান্না আক্তার ফেন্সির বিরুদ্ধে বিয়ের পর দেনমোহরের টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন তার সাবেক স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান। বিয়ের চার দিনের মাথায় তামান্না তালাকের নোটিশও পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মোস্তাফিজুর।
রাজশাহীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের সক্রিয় কর্মী তামান্না আক্তার ফেন্সি (৩১) রাজশাহী নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের (৬০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ২০ নভেম্বর রাতে কাজি অফিসে মোস্তাফিজুরের সঙ্গে তিন লাখ তিন হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন তামান্না। বিয়ের পর শহরের একটি তিন তারকা হোটেলে ফুলশয্যার আয়োজন করা হয়। তবে ফুলশয্যার আগে তামান্না দেনমোহরের টাকা বাড়িতে রেখে আসার কথা বলে বেরিয়ে যান এবং আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে ২৪ নভেম্বর তালাকের নোটিশ পাঠান তিনি। এ ঘটনায় মোস্তাফিজুর ২৯ নভেম্বর চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন, কারণ তার প্রথম স্ত্রী অসুস্থ। তামান্না তাকে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষ্যমতে, বিয়ের আগে তামান্নাকে এক লাখ টাকা বিয়ের বাজার করার জন্য এবং পরে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তামান্না সেই টাকা দিয়ে ব্যবসা করবেন বলে জানান। বিয়ের পর তিন লাখ তিন হাজার টাকার দেনমোহরের টাকা বুঝে নিয়ে তামান্না পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন মোস্তাফিজুর।
তামান্না আক্তার ফেন্সি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, মোস্তাফিজুর তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। তিনি বলেন, “বিয়ের পর আমাকে দুই কাঠা জমি ও ভবিষ্যতের জন্য ব্যাংকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেননি।” তিনি আরও জানান, দেনমোহরের টাকা বুঝে পাননি এবং কোনো পদে না থাকলেও যুব মহিলা লীগের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।
রাজশাহী মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইসমত আরা জানান, তামান্না আক্তার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ে কোনো কমিটি না থাকায় তিনি কোনো পদে ছিলেন না।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, “তামান্নার সঙ্গে কথা বলেছি। তার দাবি, মোস্তাফিজুর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কিছু দেননি, এজন্য তিনি তালাক দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন।” এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।