আজ বেলা ১১টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, নওগাঁয় দিন দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও সন্ত্রাসীদের অবাধ তৎপরতা চলছে। কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি, ছিনতাই রোধে ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। অবিলম্বে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা পালনসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি করে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং পুলিশের রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি ও অনৈতিক সুবিধা আদায়সহ আচরণের পরিবর্তন না হলে জেলার ১১ থানা ঘেরাওসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।
আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদমান সাকিব, আরমান হোসেন, ফজলে রাব্বী ও অন্যান্যরা বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর সমন্বয়ক আরমান হোসেন বলেন, নওগাঁয় দিন দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ও সন্ত্রাসীদের অবাধ তৎপরতা চলছে। কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি, ছিনতাই রোধে ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। অথচ তাদের আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অনৈতিক সুবিধা আদায় তথা ঘুষ যেন তাদের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় থানায় মামলা নেওয়া হচ্ছে না। এখনো তারা রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৯ দফা মেনে নেওয়া না হলে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে ৭ দিন পর জেলার সবকটি থানা ঘেরাওসহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।
বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনস্থলে নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দীন উপস্থিত হয়ে দাবি সমূহ পূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা পুলিশ সুপারের কাছে ৯ দফা দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে পুলিশ সুপার বলেন, তাদের ৯ দফা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ আগামীর সুন্দর ও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে তাদের সাথে একযোগে কাজ করবে পুলিশ।