বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কিছু মানুষ নিজেদের জনপ্রিয় ভেবে জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, বিভাজনের এই রাজনীতি দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে। দায়িত্বশীলদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, কিছু মানুষ জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল লিখেছেন, “কিছুসংখ্যক মানুষ নিজেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক মনে করেন। তারা গোটা জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে অন্ধকারমুখী করছে। এই মানুষগুলো আমাদের শত্রু না বন্ধু, তা সবাইকে বুঝতে হবে। আজ আমি ইচ্ছাকৃতভাবেই এই কথাগুলো বললাম।”
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “তিন মাসও হয়নি, অথচ ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় হত্যা, রক্তপাত, জ্বালাও-পোড়াও চলছে। কেন এত অস্থিরতা? সমস্যাটা কোথায়?” তিনি আরও বলেন, “নিজের ঘরে যদি বিভাজন থেকে যায়, তাহলে কোনো কিছুর সফলতা সম্ভব নয়। ধর্মকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। গণমাধ্যম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব দেখে আমি আতঙ্কিত।” মির্জা ফখরুল বলেন, “কিছু দায়িত্বশীল মানুষ উসকানি দিচ্ছে। তারা কি শত্রু, না বন্ধু—এই বিচার জনগণ করবে। পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হামলারও নিন্দা জানাই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।” বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, “আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চালিয়ে যাব। অন্যায়ের প্রতিবাদ করব। জেলে যাওয়ার জন্যও প্রস্তুত আছি।”
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের এমন কিছু বলা উচিত নয় যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। বর্তমান সরকার রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করাই তাদের দায়িত্ব।” বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি কিছু মানুষের উসকানিমূলক বক্তব্যের সমালোচনা করেন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও শহীদ পরিবারের সহায়তা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, আচরণগত অসন্তুষ্টি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় আদালতে হাজির হওয়া সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার শুনানির ফাঁকে চকলেট খেতে চান। আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে চকলেট সরবরাহ করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ফের দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামলায় ৩৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন। আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, "একজন মানুষকে কতবার রিমান্ডে নেওয়া যায়?"