• 23 Jan, 2025

৩৮ কোটি টাকার বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিত্যক্ত, স্থানীয়দের কাছে বোঝা

৩৮ কোটি টাকার বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিত্যক্ত, স্থানীয়দের কাছে বোঝা

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুটি বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র অচল হয়ে এখন পরিত্যক্ত। ২০০৭ ও ২০১৬ সালে চালু হওয়া প্রকল্পগুলো দুর্নীতি, তদারকির অভাব এবং অদূরদর্শী পরিকল্পনার কারণে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। তবে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগে দ্বীপের উন্নয়ন গতি পেয়েছে।

prothomalo-bangla_2024-11-16_1da49te3_WhatsApp-Image-2024-11-16-at-11.09.59-PM
অযত্ন-অবহেলায় বন্ধ হয়ে গেছে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।এমন পরিস্থিতির জন্য অনিয়ম, দুর্নীতি-তদারকির অভাবকে দায়ী করেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের কৃতুবদিয়ায় | ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের প্রথম বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতি, তদারকির অভাব এবং অদূরদর্শী পরিকল্পনার কারণে প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়েছে।

২০০৭ এবং ২০১৬ সালে চালু হওয়া দুটি প্রকল্পের অধীনে স্থাপন করা হয়েছিল ৭০টি হাওয়াকল। প্রথম কেন্দ্রটি কয়েক দিন এবং দ্বিতীয়টি কয়েক মাস চালু থাকার পর অচল হয়ে পড়ে। বর্তমানে এসব হাওয়াকল এবং ভবনগুলো অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে গেছে।

প্রথম কেন্দ্রের জন্য খরচ হয়েছিল ১৪ কোটি টাকা, যা ২০০৮ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই যন্ত্রপাতি অচল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ২৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও তা মাত্র এক মাস চালু ছিল।

বর্তমানে এই কেন্দ্র দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবনের মূল্যবান যন্ত্রপাতি এবং ব্যাটারি চুরি হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এসব কেন্দ্র তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিডিবির প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, কেন্দ্র দুটি হস্তান্তরও হয়নি এবং দেখাশোনার জন্য কোনো জনবল নেই।

অন্যদিকে, জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগের ফলে কুতুবদিয়ার চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সাবমেরিন কেবল দিয়ে সংযোগ দেওয়ার পর ৯,৭০০ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।

তবে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যর্থতা স্থানীয়দের ক্ষোভ বাড়িয়েছে। তারা মনে করেন, সরকারের দুর্নীতি ও তদারকির অভাবের কারণেই কোটি টাকার এই প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪