পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর কারাগারে থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন মোতাহার হোসেন। ছয় মাসের চাকরিজীবনের পর হঠাৎ করেই জীবনের গতিপথ বদলে যায় তার। ট্রেনিং শেষে বাড়ি ফিরে বাবা তাকে বিয়ে করান পাশের গ্রামের ববি আক্তারের সঙ্গে। বিয়ের মাত্র তিন দিনের সংসার শেষে কর্মস্থলে ফিরে গেলে তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে যেতে হয়।
স্ত্রী ববি আক্তার বলেন, "বিয়ের মাত্র তিন দিনের মাথায় স্বামী কারাগারে চলে যান। তখন থেকে আমি অপেক্ষায় ছিলাম। দিন পেরিয়ে বছর, বছর পেরিয়ে দশক; অবশেষে আজ ১৬ বছর পর তাকে ফিরে পেলাম। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।"
মোতাহার হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। মিথ্যা মামলায় আমাকে ১৬ বছর কারাগারে কাটাতে হয়েছে। সঠিক বিচার হলে এভাবে জীবন নষ্ট হতো না। মায়ের কোলে ফিরে আসার এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। তবে এখনও একটাই চিন্তা, ১০ তারিখে আবার কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। এটি প্রহসনের মামলা। সরকারের উচিত এ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা।"
তিনি আরও বলেন, “আমাদের অনেক নিরপরাধ ভাই এখনো কারাগারে আছেন। তাদের মুক্তি হওয়া উচিত। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই যে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আজ আমি মুক্ত। তবে এখনো জানি না আর কত দিন এ হয়রানি চলবে।” মোতাহার হোসেনের মতো অনেক সাবেক বিডিআর সদস্য আজও মিথ্যা মামলার বোঝা নিয়ে কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের মুক্তি এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সরকারের প্রতি নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষা।