ঢাকা মহানগরের পল্লবী এলাকায় ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের পাঁচ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃত নেত্রীরা হলেন- পল্লবী থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মোছা. বাবলী বেগম (৪৩), সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন যুথি (৩৮), সাংগঠনিক সম্পাদক মোছা. রিতা আক্তার (৪০), সহ-সভাপতি নাজমা আক্তার সাথী (৩০) এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোছা. খাদিজা বেগম (৩৪)। পল্লবী থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট ২০২৪ বিকেল সাড়ে ৩টায় মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে আয়োজিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন ভিকটিম মো. আবিদ। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আবিদের ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন।
তাকে দ্রুত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনার জেরে ভিকটিম আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদী ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পল্লবী থানা পুলিশ মামলার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে। এরপর অভিযুক্ত পাঁচ নেত্রী—বাবলী বেগম, সাবিনা ইয়াসমিন যুথি, রিতা আক্তার, নাজমা আক্তার সাথী এবং খাদিজা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আদালতে জমা দেওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।এই মামলার ভবিষ্যৎ অগ্রগতি এবং হামলায় জড়িত অন্যদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে পল্লবী থানা পুলিশ আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।