• 22 May, 2025

বিজয় দিবস উদযাপন: অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারত গেলেন মুক্তিযোদ্ধাদের দল

বিজয় দিবস উদযাপন: অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারত গেলেন মুক্তিযোদ্ধাদের দল

বিজয় দিবস উদযাপনে ফোর্ট উইলিয়ামে গেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মৃতিচারণ ও সম্মাননা কার্যক্রম ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতির সম্ভাবনা নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে পৌঁছেছেন। ভারত ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এই সফর অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম নিউজ ১৮ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের মতো ভারতও ১৬ ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে। এ দিনটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পরাজয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিন। প্রতি বছরই বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তারা ভারতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন। ২০২২ সালে এই অনুষ্ঠানে ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ছয়জন সেনা কর্মকর্তা অংশ নেন। এবছরও অন্তত আটজন মুক্তিযোদ্ধা ইতোমধ্যেই ভারতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।

ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত কর্মসূচি:

বিজয় দিবস উপলক্ষে ফোর্ট উইলিয়ামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্মাননা প্রদান এবং শুভেচ্ছা বিনিময়। এছাড়াও সামরিক প্রতীক আঁকা ও বিভিন্ন স্মারক কর্মসূচি পালিত হবে। এ অনুষ্ঠান দুই দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট:

এই সফরের আগে, গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিক্রম মিশ্রি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন অংশ নেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাণিজ্য, এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। এদিকে, এর আগে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বিজয় দিবস উদযাপনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিজয় দিবসের এই আয়োজন শুধু দুই দেশের যৌথ ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যম নয়, বরং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪