সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আদালতে হাজির হন। সকাল ১০টায় প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয় তাদের। আদালতের সামনে উপস্থিত হয়ে পলক সবার উদ্দেশে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আমার জন্য দোয়া কইরেন।’
এই দিন, বিভিন্ন মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শ্রমিক নেতা শাহজাহান খান, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, এবং সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের। প্রিজন ভ্যানে আনার সময় আসামিদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট এবং বুকে সুরক্ষামূলক জ্যাকেট ছিল।
গ্রেপ্তারের বিস্তারিত
জুনায়েদ আহমেদ পলককে শাহবাগ থানার হত্যা মামলায়, আতিকুল ইসলামকে উত্তরা পশ্চিম থানার হত্যা মামলায়, শাহজাহান খানকে হাতিরঝিল থানার হত্যা মামলায় এবং হাসানুল হক ইনুকে গুলশান থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে অবস্থান
শুনানির সময় আসামিদের মুখে বিষণ্ণ ভাব দেখা গেলেও, হাসানুল হক ইনু শুনানি শেষে আদালতে হালকা হাসি দেন। এজলাস থেকে নামার পর শাহজাহান খান এক আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে মজার ছলে বলেন, ‘খুব ভালো। খুব ভালো।’ সাংবাদিকদের সাথেও রসিকতা করে তিনি একই মন্তব্য করেন।
মামলার প্রেক্ষাপট
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর এবং তদন্ত কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য রিমান্ড চেয়েছেন। আদালত তাদের প্রতি নির্ধারিত নিয়মে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আদালত প্রাঙ্গণে এদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল। পরে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্টদের বার্তা
দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের এমন মামলায় জড়িত থাকার ঘটনাটি জনমনে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। আইনজীবীরা বিষয়টি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন।