রাজধানীর বিভিন্ন হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও জুনাইদ আহমেদ পলককে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাদের হাজির করে পুলিশ। শুনানিতে পুলিশ পক্ষ থেকে বলা হয়, জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যায় তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তাই একাধিক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহমেদের আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এবং দুই পুলিশ সদস্যকেও নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সঙ্গে এ আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে। আদালতে এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।” অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেন, “একই ব্যক্তিদের বিভিন্ন মামলায় বারবার গ্রেপ্তার দেখানো মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এটি বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলছে।”
গত জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশজুড়ে সংঘটিত সহিংসতায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে, যার তদন্তে উঠে আসে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।
