শুক্রবার বিকালে জাতীয় পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়নকারী শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন'স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) নওগাঁ জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনসিটিএফ নব নিবাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ নাফি জানান,প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইয়েস বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় আয়োজিত নির্বাচন এ এনসিটিএফ জেলা কমিটির বিভিন্ন পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়। আয়োজন রেস্টুরেন্ট এ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনে এনসিটিএফ নওগাঁ জেলার সহ-সভাপতি গৌরি কুন্ডু এর সভাপতিত্বে অতিথি ও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. ময়নুল হক দুলদুল ও মামুন হাসান নয়ন, উপদেষ্টা, এনসিটিএফ নওগাঁ, ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনে ছিলেন গৌরী কুন্ডু, অপূর্ব চক্রবর্তী ও মাহমুদ। সার্বিক সহায়তায় ছিলেন ইয়েস বাংলাদেশর জেলা ভলান্টিয়ার মুনিরা সুলতানা ও আল মামুন রুপস।
নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সমাদৃতা রায়, এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন একাদশ শ্রেণির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ নাফি। তাদের নেতৃত্বে আগামী দুই বছর জেলার শিশু অধিকার, নিরাপত্তা এবং অংশগ্রহণ বিষয়ক নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।এছাড়াও শিশু সংসদ সদস্য (ছেলে ও মেয়ে) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আল শাহরিয়ার এবং বরালিকা সাহা তুষ্টি। এরা দুজনই দীর্ঘদিন ধরে শিশু অধিকার বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ন্যাশনাল চিলড্রেন’স একটি শিশু-কিশোর নেতৃত্বে পরিচালিত সংগঠন, যা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং ইয়েস বাংলাদেশ এর সহায়তায় শিশু অধিকার, নিরাপত্তা, অংশগ্রহণ, এডভোকেসী ও ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। এই সংগঠনের একটি এডভোকেসী উইংস চাইল্ড পার্লামেন্ট, যেখানে শিশু প্রতিনিধিরা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে শিশুদের সমস্যা তুলে ধরে এবং সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
এনসিটিএফ একটি শিশু-কেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম, যা দেশের প্রতিটি জেলায় শিশুদের অধিকার, অংশগ্রহণ ও সুরক্ষার জন্য কাজ করে। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং শিশু সংসদ সদস্যসহ মোট ১১ জন কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক চাইল্ড পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে তারা সরাসরি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মাননীয় মন্ত্রীদের সামনে শিশুদের সমস্যা, চাহিদা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।চাইল্ড পার্লামেন্ট একটি অনন্য গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম, যা শিশুদের নেতৃত্বের বিকাশ, অংশগ্রহণ ও নিজেদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরার একটি মূল্যবান সুযোগ দেয়। আর এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় সেই যাত্রা।