বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, “যদি এ দেশে ইসলামের শাসন কায়েম করা হয়, তাহলে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।” শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন আয়োজিত সম্প্রীতির সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
উক্ত সমাবেশে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল এবং ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নেতৃবৃন্দ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “কোনো সম্প্রদায়ের ওপর জুলুম-অত্যাচার হলে তা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। কিন্তু আমাদের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে এ ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আল্লাহর বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হলে জুলুম-নির্যাতন বন্ধ হবে। মানবসৃষ্ট বিধানের ভুল থাকলেও আল্লাহর বিধানে কোনো ভুল নেই। তাই ইসলামের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। তবে অযথা সময়ক্ষেপণ করলে তারা জনগণের আস্থা হারাবে।”
সমাবেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এলবার্ট পি. কস্টা বলেন, “সম্প্রতি চট্টগ্রামে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে, যা আগে দেখা যায়নি। ১৯৪৮, ১৯৬৪, ১৯৭২ এবং এরশাদ সরকারের সময়ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা হয়েছিল। বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থেকে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বলছে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে ক্ষমতাসীনরা দাঙ্গা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে।”
সমাবেশে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের নেতা লিংকন দত্ত, চিন্তক ফরহাদ মাজহার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।