• 03 Feb, 2025

হাতিয়ায় বিএনপির সমাবেশে 'জয় বাংলা' স্লোগান, তোলপাড় রাজনৈতিক মহলে

হাতিয়ায় বিএনপির সমাবেশে 'জয় বাংলা' স্লোগান, তোলপাড় রাজনৈতিক মহলে

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির সমাবেশে স্থানীয় নেতা আবুল বাসার ফুল মিয়ার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা বিএনপি।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম আদর্শ মহিলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি নেতা আবুল বাসার ফুল মিয়া বক্তব্য শেষ করার সময় ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার মো. আবুল কালাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল উদ্দিন রাশেদ। বক্তব্যের শেষ মুহূর্তে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন, ‘জয় বাংলা’ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্লোগান, যা বিএনপির আদর্শের পরিপন্থী।

তবে, আবুল বাসার ফুল মিয়া দাবি করেছেন, তিনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেননি। তার ভাষায়, “আমি জয় বাংলা বলিনি। এটি আমাদের বিরোধী দলের স্লোগান। আমি 'তারেক জিয়া জিন্দাবাদ' বলেছিলাম। তবে পাশে থাকা অন্য কেউ জয় বাংলা বলতে পারে।” এ বিষয়ে হাতিয়া পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন জানান, "আবুল বাসার ভাই বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে ভুলবশত ‘জয় হোক বাংলাদেশ’ বলতে গিয়ে ‘জয় বাংলা’ বলে ফেলেছেন। তবে তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেননি। মানুষ মাত্রই ভুল করে।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপজেলা বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আবুল বাসার ফুল মিয়া সুবিধাভোগী ছিলেন। তিনি এখন দলের নীতি বহির্ভূত কাজ করছেন, যা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, “বিএনপির কোনো নেতাকর্মী নিষিদ্ধ স্লোগান ব্যবহার করতে পারবে না। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিউজ ডেস্ক

প্রভাত সময় ২৪