জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো অধিকার রাখে না। তিনি বলেন, অপরাধ করলে তার বিচার হওয়া উচিত, তবে একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনাসভায় জিএম কাদের অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া প্রকৃতপক্ষে জাতিকে বিভক্ত করেছে। তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যের নামে জাতীয় অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ১৮টি দল নিয়ে জাতীয় ঐক্য করা হয়েছে, অথচ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৩টি। এতে অর্ধেক জনগণ জাতীয় ঐক্যের বাইরে রয়ে গেছে। এর ফলে দেশজুড়ে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি ও পারস্পরিক অবিশ্বাসের আবহ সৃষ্টি হয়েছে।”
জাতীয় পার্টির ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তুলে জিএম কাদের বলেন, “আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, নেতাদের পাসপোর্ট আটকে দেওয়া হয়েছে। এটি রাজনীতির জন্য একটি বিপজ্জনক সংকেত।” গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জিএম কাদের বলেন, “দেশে গণমাধ্যমের ওপর চরম সেলফ সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। এটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে তিনি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে জাতীয় ঐক্য পুনর্গঠনের আহ্বান জানান। জিএম কাদেরের বক্তব্য স্পষ্ট করে দেয় যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার দল উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।