"জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা" এই পতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নওগাঁতে লিফলেট বিতরণ করেছে। শনিবার বিকেল ৩টায় শহরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে লিফলেট কর্মসূচির শুরুতে ৭ দফা দাবি তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনিরা শারমিন এবং নওগাঁ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য ফজলে রাব্বি, আরমান হোসেন, সাদমান সাকিব, রিয়াসাদ আজিম।
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনিরা শারমিন ৭ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে। ঘোষণাপত্রে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনী ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
মুনিরা শারমিন আরও উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে। সমাবেশ শেষে উল্লেখিত দাবিতে শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে "জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা" এই পতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ লিফলেট বিতরণ করেন।