রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্লোগানে মুখরিত বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলেছেন। পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগও। রোববার গুলিস্তান আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা।
রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভের তীব্র উত্তেজনা দেখা গেছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদেরকে সেখানে ‘খুনি কেন বাহিরে, মুগ্ধ কেন কবরে’ এবং ‘নূর হোসেন দিচ্ছে ডাক, খুনি শেখ হাসিনা নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করছেন।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী মনজুর হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, ‘‘জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিরীহ মানুষের উপর গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখনো সেই রক্তের দাগ শুকায়নি, তার মধ্যেই শেখ হাসিনা সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আমরা ছাত্র-জনতা এটা কোনোভাবেই করতে দেব না।’’
এদিকে, আওয়ামী লীগ থেকেও পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে। দলটির পক্ষ থেকে ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা’র লক্ষ্যে রবিবার দুপুর ৩টায় শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তারা রোববার দুপুর ১২টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ গণজমায়েত করার ডাক দিয়েছে।
গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ছাত্র-জনতার এমন বিক্ষোভ এবং পাল্টা কর্মসূচির কারণে পরবর্তী পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও শহীদ পরিবারের সহায়তা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, আচরণগত অসন্তুষ্টি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
মিরপুর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় আদালতে হাজির হওয়া সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার শুনানির ফাঁকে চকলেট খেতে চান। আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে চকলেট সরবরাহ করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ফের দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামলায় ৩৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন। আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, "একজন মানুষকে কতবার রিমান্ডে নেওয়া যায়?"